ঘোলা পানিতে মৎস্য শিকার

images৪ হাজার কোটি টাকা আদায়ের ‘চেষ্টার পর’ সোনালী ব্যাংক আবিষ্কার করেছে যাদের নামে এসব ঋণ নেয়া হয়েছে সেরকম ২৫টি কোম্পানির হদিস পাওয়া সম্ভব নয়। তাদের সিদ্ধান্ত, যেহেতু এই টাকা উদ্ধারের কোন সম্ভাবনা নেই সেহেতু এই ঋণ ‘রাইট অফ’ করা হয়েছে। অর্থাৎ এগুলো আর হিসাবেই থাকছে না। (২) যারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে তাদের ঋণ পুনঅর্থায়ন বা রিশিডিউল করবার সময়সীমা আরও ১২ বছর বাড়ানো হয়েছে। সুদের হারও কমানো হয়েছে। বেক্সিমকোর ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া ঋণ নিয়ে করা আবেদন থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত। (৩) সুন্দরবনধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকাজের জন্য অভিজ্ঞতার শর্ত শিথিল করতে ভারতের এনটিপিসি চাপ দিচ্ছে, কারণ শর্ত শিথিল না করলে ভারতের নির্ধারিত কোম্পানি এই কাজ পাবে না। সেই মোতাবেক কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। (৪) এইচএসবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের অর্থ পাচারের খবর একটু প্রকাশিত হয়েছে। (৫) সরকার আগামী ছয়মাসে আবুধাবী ও সৌদী আরব থেকে ১৩ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করবে ১০৪=১১৪ মার্কিন ডলার মূল্যে যেখানে আন্তর্জাতিক বাজার দর হচ্ছে ৫৬ মার্কিন ডলার। মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী এরজন্য মোট খরচ হবে ৯৩৭৩ কোটি টাকা যা প্রকৃত দামের দ্বিগুণ। মানে জনগণের বাড়তি খরচ ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। হরতাল অবরোধ আর জ্বালাও পোড়ায়ের ডামাডোলে, আড়ালে চলে যাচ্ছে এইসব পুকুরচুরি,একেই বুঝি বলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার ।

সুত্রঃ এ,মোহাম্মাদ।

Leave a comment